আত্মহত্যা: একটি গুরুতর মানসিক সমস্যা; সমাধানের উপায়

বর্তমানে বাংলাদেশে Suicide একটি major public health problem হিসেবে দেখা দিয়েছে। আত্মহত্যা শুধু যে একজন ব্যক্তির জীবনের উপর প্রভাব ফেলে বিষয়টি এমন নয়। এ প্রভাব ব্যক্তি ছাড়াও তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কমিউনিটির উপরও একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সুতারাং আত্মহত্যার মতো একটি গুরুতর মানসিক সমস্যাকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের জানতে হবে আত্মহত্যা কি, এর লক্ষণগুলো কি এবং কি কি বিষয় আত্মহত্যা ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে পাশাপাশি এর ট্রিটমেন্ট বা চিকিৎসা কি বা প্রতিরোধের উপায় কি।

আত্মহত্যা কি?
মানুষ যখন নিজেই নিজেকে হত্যা করে তখন তাকে আত্মহত্যা বলে। এটাকে অন্য নামেও বলা হয় যেমন “committing suicide” or a “successful suicide”.

আত্মহত্যার সাথে পরিচিত আর একটি শব্দ সেটি হলো সুইসাইড এটেম্পট (suicide attempt)। সুইসাইড এটেম্পট হলো মানুষ যখন নিজেকে আঘাত করে এবং নিজের জীবন শেষ করে দিতে চায় কিন্তু সে মরে না বা জীবিত থাকে সে সকল কর্মকান্ড কে বলা হয় সুইসাইডাল এটেম্পট ।

কারা আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে? (Who Is at Risk for Suicide?)

সত্যিকার অর্থে কে বেশি আত্মহত্যা ঝুঁকিতে আছে তা পার্থক্য করা কঠিন। তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো থেকে বুঝা যায় যে একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা ঝুঁকিতে আছেন। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

The main risk factors for suicide are:

১. পূর্বে বা পূর্বে সুইসাইড এটেম্পট নিয়েছে (A prior suicide attempt)

২ ডিপ্রেশন বা অন্যান্য মানসিক সমস্যা থাকলে (Depression and other mental health disorders)

৩. মাদক দ্রব্য বা নেশায় আসক্ত হলে (Substance abuse disorder)

৪.পরিবারে যদি মানসিক রোগের ইতিহাস থাকে বা substance abuse ডিজঅর্ডার থাকে (Family history of a mental health or substance abuse disorder)

৫. পরিবারে যদি আত্মহত্যার ইতিহাস থাকে বা কেউ পূর্বে আত্মহত্যা করে থাকে (Family history of suicide)

৬. পারিবারিক বিশৃঙ্খলা যেমন পরিবারে শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে (Family violence, including physical or sexual abuse)

৭.বাড়িতে যদি বন্দুক বা অন্যান্য মারণাস্ত্র থাকে (Having guns or other firearms in the home)

৮. জেলের কয়েদি যারা জেল খেটেছেন (Being in prison or jail)

৯. যদি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সুইসাইড এটেম্পট আচরণ থাকে (Being exposed to others’ suicidal behavior, such as a family member, peer)

১০. শারীরিক কোনো জটিল সমস্যা (Medical illness) যেমন ক্যান্সার।

১১. আর যাদের বয়স 15 থেকে 24 বছরের মধ্যে এবং যাদের বয়স 60 বছরের উর্ধ্বে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। (Being between the ages of 15 and 24 years or over age 60 )

যাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি বেশি তাদের মধ্যে সুইসাইড এটেম্পট (suicide attempt) এর প্রবণতা যে সব সময় থাকবে এমন নাও হতে পারে। সুতরাং এটি পূর্ব নির্ধারণ করা খুবই কঠিন যে যারা সুইসাইড এটেম্পট নেয় তাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি বেশি থাকে কিনা।

কোন নির্দিষ্ট গ্রুপে মানুষ কি বেশি আত্মহত্যা ঝুঁকিতে থাকে?
(Are certain groups of people at higher risk than others?)

Centers for Disease Control and Prevention (CDC), এর মতে মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকে। কারন পুরুষরা আত্মহত্যার জন্য যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করে সেগুলো অনেক বেশি মারাত্মক হয় যেমন বন্ধুক, পিস্তল ইত্যাদি। আর মেয়েরা সাধারণত কম মারাত্মক পদ্ধতি ব্যবহার করে যেমন হারপিক খাওয়া, ইঁদুর মারার বিষ খাওয়া, ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়া ইত্যাদি।

এছাড়াও কিছু কিছু জনগোষ্ঠী আছে যাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি বা তারা বেশি আত্মহত্যা করে থাকে। যেমন American Indian and Alaska Native এদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা বেশি। আবার non-Hispanic White মধ্য বয়সী এবং বৃদ্ধ বয়সী পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশী।

African Americans মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে কম বা সেখানে আত্মহত্যার রেট অনেক কম।

তবে শিশুদের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম। African American শিশু যাদের বয়স 12 বছরের নিচে তাদের মধ্যে আত্মহত্যা রেট অনেক বেশি White children এর তুলনায়। While younger preteens and teens মতে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক কম older adolescents এর তুলনায়।
শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি থাকে যাদের বয়স 10 থেকে 14 বছরের মধ্যে।

কেন risk factors থাকার পরেও কিছু কিছু মানুষ আত্মহত্যা করে এবং কিছু মানুষ আত্মহত্যা করে না?
(Why do some people become suicidal while others with similar do not?):

বেশিরভাগ মানুষই যারা আত্মহত্যা ঝুঁকিতে থাকে তারা নিজেকে হত্যা করতে চায় না। গবেষণায় দেখা যায় যে যেসব ব্যক্তি বা মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের চিন্তার ধরন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াটা অন্যান্য মানুষদের থেকে আলাদা বা অন্য রকম থাকে থাকে। এবং এই পার্থক্যটা বেশি দেখা যায় সেসব মানুষের মধ্যে যারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন, যেমন depression, substance abuse, anxiety, borderline personality disorder, and psychosis.

তাহলে এখন যে প্রশ্নটি আসে সেটি হলো কি কি লক্ষণ দেখে বুঝবো একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে চায়?

তাহলে আসুন জেনে নেই আত্মহত্যার লক্ষণগুলো কি কি?
(What Are the Warning Signs of Suicide?)

১. যারা আত্মহত্যা করতে চায় তারা সাধারণত আত্মহত্যা নিয়ে কথা বলে যেমন সে আর বাঁচতে চায় না, মরে গেলে ভালো হতো, নিজেকে মেরে ফেলতে চায় ইত্যাদি ।

২. যারা আত্মহত্যা করতে চায় তাদের কথা বলার মধ্যে অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে তারা অনেক বেশি হতাশায় ভোগেন এবং তাদের মধ্যে শূন্যতা অনুভূতি হয় এবং তারা কি কারণে বাঁচবে সেটার কোনো কারণ খুঁজে পায় না। (Talking about feeling empty, hopeless, or having no reason to live)

৩. আত্মহত্যা করতে চায় তাদের একটি পরিকল্পনা থাকে বা কিভাবে আত্মহত্যা করবে বা নিজেকে হত্যা করবে তার জন্য অনলাইনে সার্চ করে এবং কি কি পদ্ধতিতে আত্মহত্যা করা যায় সে বিষয়ে খোঁজ করে।

৪. নিজের প্রতি অনেক ঘৃণা এবং অপরাধবোধ কাজ করে। (Talking about great guilt or shame)

৫. তাদের কথপকথন এর মধ্যে এরকম বিষয়গুলো ফুটে ওঠে যেমন তারা একটি ট্রাপে পড়ে গেছে এবং এখান থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নাই। বের হওয়ার একমাত্র উপায় হলো আত্মহত্যা।

৬. অনেক বেশি মানসিক বা শারীরিক কষ্ট থেকেও আত্মহত্যা করতে পারে। (Feeling unbearable pain, both physical or emotional)

৭. তাদের কথোপকথন এর মধ্যে নিজেকে অন্যের বোঝা হিসেবে মনে করে (Talking about being a burden to others).

৮. যারা অনেক বেশি অ্যালকোহল ড্রাগস বা নেশাসক্ত থাকে।

৯. Acting anxious or agitated.

১০.পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া ব্যক্তি।

১১. খাবারের এবং ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন (Changing eating and/or sleeping habits)

১২. তারা অনেক বেশি জেদি হয় এবং revenge বা প্রতিশোধ নিতে চায় (Showing rage or talking about seeking revenge)

১৩. অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করে যেমন অনেক জোরে গাড়ি চালানো অথবা উপর থেকে লাফ দেওয়া।

১৪. প্রায় প্রায় আত্নহত্যার চিন্তা করে কথা বলে।

১৫. অতি দ্রুত তাদের মেজাজ পরিবর্তন হয় যেমন এইমাত্র অনেক হাসিখুশি আবার ঠিক পরের মুহূর্তেই অনেক বেশি দুঃখ বোধ বা কান্না করে।

১৬. বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে বিদায় নেয় বা গুডবাই বলে থাকে (Saying goodbye to friends and family).

১৭. Giving away important possessions.

মানুষ কি আত্মহত্যার হুমকি দেয় অন্যের মনোযোগ পাওয়ার জন্য? (Do People Threaten Suicide to Get Attention?)

আত্মহত্যা চিন্তা বা আত্মহত্যা মূলক আচরণ মূলত অত্যধিক মানসিক চাপের বহিঃপ্রকাশ। এটি স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। যদি কারো মধ্যে আত্মহত্যার লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সেটা কোনভাবেই অবহেলা বা অপেক্ষা করা উচিত নয়। যেকোনো ধরনের আত্মাহত্যা সম্পর্কিত কথা অনেক গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। আত্মহত্যা জন্য হুমকি দেওয়া কোন স্বাভাবিক মানসিক চাপের প্রতি প্রতিক্রিয়া নয় এবং এই বিষয়টিকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

যদি আপনি কারও সাথে আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে কথা বলেন তার মানে কি এই যে আপনি তার মাথার ভেতর আত্মহত্যা চিন্তা ঢুকিয়ে দিলেন?
(If You Ask Someone About Suicide, Does It Put the Idea Into Their Head?)

কাউকে আত্মহত্যা বিষয়ে জিজ্ঞেস করা এটা কখনোই ক্ষতিকর বা মারাত্মক নয়।
আত্মহত্যা সম্পর্কে অনেকগুলো myth আছে তার মধ্যে একটি মিথ হলো আমি যদি কারো সাথে আত্মহত্যার বিষয়ে কথা বলি তাহলে আমি তার মাথার ভেতর আত্মহত্যা চিন্তা ঢুকিয়ে দিলাম বা তাকে আত্মহত্যা ঝুঁকিতে ফেলে দিলাম। এটি আসলে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং সবচেয়ে ভালো হলো কেউ আত্মহত্যা ঝুঁকিতে আছে কিনা এটা বের করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা যে আপনি নিজেকে হত্যা করতে চান কি না? (“Are you thinking of killing yourself,”).

আমি কি করতে পারি বা করা উচিত যখন আমি আত্মহত্যা ঝুঁকিতে আছি বা আমি যদি জানি অন্য কেউ আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে
(What Should I Do if I Am in Crisis or Someone I Know Is Considering Suicide?)

আত্মহত্যা ঝুঁকিতে থাকা একজন ব্যক্তিকে তার পরিবারের লোকজন সবচেয়ে বেশি হেল্প করতে পারে বা সাহায্য করতে পারে। তাই পরিবারের লোকজনকে আত্মহত্যার লক্ষণ সম্পর্কে জানানো এবং তারা কি করতে পারে সে বিষয়ে তাদেরকে তথ্য দিতে হবে।

১. যদি আপনি নিজে আত্মহত্যা ঝুঁকিতে থাকেন বা কেউ আত্মহত্যা ঝুঁকিতে থাকে তাহলে তা কখনোই লুকিয়ে রাখবেন না।

২. যদি কেউ আপনাকে আত্মহত্যার কথা বলে যে তিনি নিজেকে হত্যা করতে চান তাহলে তাকে কখনোই প্রমিস করবেন না যে তার আত্মহত্যার কথা আপনি গোপন রাখবেন বরং তার আত্মহত্যার বিষয়ে তার সাথে কথা বলবেন এবং তাকে কে কে হেল্প করতে পারে এই বিষয়ে তাকে সাহায্য করবেন বা কথা বলবেন। তিনি যার সাথে আত্মহত্যা বিষয় নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তার সাথে কথা বলার সুযোগ করে দিবেন এবং এই বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। যেমন তার পরিবারের লোকজন হতে পারে অথবা তার কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারে অথবা বড় ভাই হতে পারে বা ছোট ভাই বোন হতে পারে যে কেউ।

৩. আর কেউ যদি সুইসাইড এটেম্পট নেয় তাহলে তাকে সরাসরি হসপিটালে ভর্তি করাবেন।

৪. বাসা থেকে সকল ধরনের মারাত্মক এবং বিপজ্জনক বস্তু যেগুলো জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ বা ক্ষতিকর সেগুলো সেই ব্যক্তির কাছ থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যেমন দড়ি, কাচি, ট্যাবলেট, ওড়না হারপিক, ঘুমের ট্যাবলেট, চাকু, ব্লেড, সেফটিপিন, সুই ইত্যাদি।

‌৫. ব্যক্তিকে অবশ্যই সাইকোলজিক্যাল সাহায্যের জন্য সাইকোলজিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এর কাছে বা কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাবে।

যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়াতে বা ফেসবুকে আত্নহত্যার বিষয় নিয়ে পোস্ট করে তখন আপনি কি করবেন?
(What if Someone Is Posting Suicidal Messages on Social Media?)

তাকে কিভাবে হেল্প করা যায় সে চেষ্টা করবেন। তাকে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট বা অনলাইন কাউন্সেলিং বা অনলাইন সুইসাইড কাউন্সেলিং পেজের সাথে যোগাযোগ করতে বলবেন অথবা তাকে সাইকোলজিকাল সার্ভিসের জন্য উৎসাহ প্রদান করবেন এবং সে সার্ভিসগুলো তিনি কিভাবে এবং কোথা থেকে নিতে পারে সেই বিষয়ে তাকে জানাবেন।

আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, নিজের সুইসাইড বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকলে চিকিৎসা দেওয়া চেষ্টা করবেন না এতে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর হিসেবে দেখা দিবে।

আত্মহত্যার জন্য কি কি ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি আছে:

আত্মহত্যা প্রতিরোধ এর জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চিকিৎসা আছে এবং এই চিকিৎসাগুলো গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে যে এগুলো আত্মহত্যা প্রতিরোধে সক্ষম। যেমন নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (Cognitive behavioral therapy): আত্মহত্যার সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি। কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি মূলত ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট দিয়ে থাকেন।

২. Dialectical Behavioral Therapy: আত্মহত্যা ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই চিকিৎসা নিতে হলে আপনাকে একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টরা মূলত এই থেরাপির সবচেয়ে ভালো প্র্যাকটিস করে থাকে বা তারা অন্যান্য প্রফেশনালদের তুলনায় এই বিষয়ে অভিজ্ঞ অনেক বেশি।

৩. কাউন্সেলিং: কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্টরা সাধারণত মৃদু মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু আপনার সমস্যাটা যদি অনেক বেশি জটিল হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সাথে কথা বলতে পারেন। আর আপনার মধ্যে যদি সাইকোটিক ফিচার যেমন হ্যালুসিনেশন বা ডিলিউশন দেখা দেয় তাহলে আপনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার মেডিসিন লাগবে বা মেডিসিন এর মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে হবে এর পাশাপাশি আপনি কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি বা কাউন্সিলিং নিতে পারে।

৪. মেডিসিন: অনেক ক্ষেত্রে যাদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক বা সাইকোটিক লক্ষণ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি মেডিসিন এর প্রয়োজন হয় এবং এক্ষেত্রে আপনি একজন মনোরোগ (psychiatrist) বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করবেন ।

ব্যক্তিগত সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং/ শিশুদের কাউন্সেলিং(child psychotherapy) /পারিবারিক কাউন্সেলিং/couple কাউন্সেলিং/Face to face individual counseling/online counseling and psychotherapy ও অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য 01711-662709, 01602-268405, 01602-268406 এই নম্বরে কল করুন বা online appointment সেকশনে গিয়ে পছন্দের ডাক্তারের appointment নিন অথবা পেইজে মেসেঞ্জারে মেসেজ দেন। আপনাদের যে কোন মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন অথবা যদি গোপনীয়তা চান তাহলে এই পেজের messenger e message এ করতে পারেন ।

লেখক: মো. আসাদুজ্জামান মণ্ডল
এমফিল গবেষক, ডিপার্টমেন্ট অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

হাই-টেক মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল

প্রধান শাখা: ১১৬, মনিপুরীপাড়া (১ নং গেইট), তেজগাঁও, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫.
কেরাণীগঞ্জ শাখা: সারা প্যালেস (পুরাতন সিনেমা হলের পাশে), আটি বাজার, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

০১৭১১-৬৬২৭০৯,
০১৬০২-২৬৮৪০৫,
০১৬০২-২৬৮৪০৬

অনলাইনে সরাসরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

Main Branch: Hi-Tech Modern Psychiatric Hospital. 116, Monipuripara (1 No Gate), Tejgaon, Farmgate, Dhaka-1215. Keraniganj Branch: Sara Palace (Beside Old Cinema Hall), Ati Bazar, Keraniganj, Dhaka.

Call Us Now at

Call Us Now at

01711-662709, 01602-268405, 01602-268406

Email Us at

Email Us at

modernhospital2014@gmail.com

Twitter
YouTube
LinkedIn
Share
WhatsApp