ব্যক্তিত্বের সমস্যায় করণীয় | হাই-টেক মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল

যথাযথ ব্যক্তিত্ব যেমন মানুষকে সম্মান এনে দেয়-ঠিক তেমনি ব্যক্তিত্বের এক বা একাধিক ‍উপাদানের অস্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশও সমস্যার সৃষ্টি করে। সমস্যা যখন গ্রহণযোগ্যতার বাইরে চলে যায় তখনই ব্যক্তিত্বের সমস্যা নামক অসুখের সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব সামগ্রীকভাবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, পেশাসহ সবকিছুর উপর পড়ে।

ব্যক্তিত্বের সমস্যায় আক্রান্ত একজন ব্যক্তি অন্যান্যদের সাথে কখনোও সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। তাই পরিবারের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। যার পরিণতিতে দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা, সন্দেবাতিকতাসহ বিভিন্ন মানসিক অসুখে আক্রান্ত হয়। অনেক সময় নিজেকে আঘাত করা, অন্যকে অবজ্ঞা করা, অপরাধমূলক কাজ করা, মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়া, এমনকি আত্মহত্যার মত জীবন হননকারী কর্মকান্ডেও লিপ্ত হয়।

ব্যক্তিত্বের সমস্যায় আক্রান্ত একজন সদস্যই যেকোন পরিবারের শান্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। সে কারোর উপদেশ-অনুরোধ মানে না, কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনাও করে না। প্রায়ই উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, বেশি বেশি চাহিদা দেখায়, মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে।

তাই পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে সব সময় আতংকিত থাকে। তার কর্মকান্ডে বিব্রতবোধ করে। তার আচরণে বা কর্মকান্ডে আশপাশের লোকজনের অভিযোগেও অতিষ্ঠ হতে হয়।

বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিত্বের সমস্যা আছে। অসামাজিক (Antisocial) ও সীমান্তবর্তী (Borderline) ব্যক্তিত্বের সমস্যাই সচারচর বেশি দেখা যায়। ব্যক্তিত্বের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির নৈতিক বা মানবিক মূ্ল্যবোধ থাকে না। তাই মারামারি, চুরি, ছিনতাই,খুন, ইভটিজিং, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড তার কাছে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিনত হয়।

ব্যক্তিত্বের সমস্যায় আকান্ত একজন ব্যক্তি অন্যের উপকার তো দূরের কথা, নিজের জন্যও কিছুই করতে পারে না। তাই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে আপদ বলে বিবেচিত হয়।

সব কিছুর গ্রহণযোগ্যতার একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি থাকে। সমস্যা মানেই সেই মাপকাঠি অতিক্রান্ত হওয়া। ব্যক্তিত্বের সমস্যা মানেই তার কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্যতার বাইরে চলে গেছে।

কাজেই ব্যক্তিত্বের সমস্যা সনাক্ত হওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে।

যদিও ব্যক্তিত্বের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা অনেকটা “চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী” এর মতো। সে শাস্তিকে ভয় পায় না। সমালোচনাকে তোয়াক্কা করে না, উপদেশকে গুরুত্ব দেয় না। তার মধ্যে নৈতিকতা বা মানবিকতা তৈরী হয় না।

তাই তার চিকিৎসা করা খুব সহজ কাজ নয়। তবুও নিরাশ হলে চলবে না। আসুন, আমরা আশায় বুক বেঁধে রোগী, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ব্যক্তিত্বের সমস্যায় কু-প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে চিকিৎসার সর্বাত্মক চেষ্টা করি।

জনস্বার্থে-
হাই-টেক মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল
মাদকাসক্তি ও মানসিক রোগের অনন্য চিকিৎসা কেন্দ্র
যেকোন তথ্যে ও সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Hi-Tech Modern Psychiatric Hospital. Branch-1: 116, Monipuripara (1 No Gate), Tejgaon, Farmgate, Dhaka-1215. Branch-2: Sara Palace (Beside Old Cinema Hall), Ati Bazar, Keraniganj, Dhaka.

Call Us Now at

Call Us Now at

01711-662709, 01602-268405, 01602-268406

Email Us at

Email Us at

modernhospital2014@gmail.com

Twitter
YouTube
LinkedIn
Share